সনাতন ধর্ম মতে ধান, দূর্বা,ও উলুধ্বনী দিয়ে আর্শীবাদ কেন করা হয়?
নিউজ দুনিয়া ২৪, ওয়েব ডেস্ক,ধানঃ-
আশীর্বাদ মৌখিক ও হতে পারে। আবার অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও হতে পারে। যাকে আশীর্বাদ করব তার মঙ্গল কামনার জন্যই আমাদের আশীর্বাদের আয়োজন করা হয়। ধনের দেবী লক্ষ্মী। ধান হল ধন ও ঐশ্বর্যের প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তাই লক্ষ্মী পুজায় ধানের গোছা দেখা যায় বাড়ীর খুটিতে বা ঘড়ের দরজায় মুরিয়ে রাখে। কারণ ধনে ধানে যাতে ঘড় ভরে উঠে। এতে প্রতিয়মান যে যাকে আর্শীবাদ করা হয় সেও যাতে সারাজীবন ধন ও ঐশ্বর্যের পূর্ণতা নিয়ে দীর্ঘকাল বাঁচতে পারেন।
দূর্বা
দূর্বা হল সজীবতা ও মৃত্যুহীনতার প্রতীক । সাধারণতঃ দূর্বাঘাস সহজে মরে না । এর শিকড় যদি মাটিতে কোনভাবে থেকে যায় , সেখান থেকেই আবার নতুন দূর্বা জন্মায় । দূর্বা হাতে নেওয়া মানে অমরত্বের শরণ নেওয়া । তাছাড়া , দূর্বা চিরশ্যামল । এই শ্যামলতা হল সজীবতা তথা নবীনপ্রাণতার প্রতীক । দূর্বা হাতে নেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রাণবত্তা ও চিরনবীনতাকেই বরণ করা হয়।
উলুধ্বনী
উলুধ্বনী হল সনাতন ধর্মের একটি মাঙ্গলিক ধ্বনি। সকল মঙ্গল জনক কাজের শুরুতে বা শেষে উলুধ্বনি দেওয়া হয়। উলু ধ্বনি শুনে বোঝা যায় কোন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। এটি মহিলাদের সৃষ্ট ধনী। যেমন মুসলমানদের আজান শুনলে বোঝা যায়। নামাজের সময় হয়ছে বা বিশেষ বিশেষ সময় আজান দেয়া হয়। তদরুপ সনাতন ধর্মে উলুধ্বনি দিয়ে মাঙ্গলিক অনুষ্টানাদি বুঝানো হয়।
কোন কোন ক্ষেএে উলুধ্বনী সংকেতেরও কাজ করে যা থেকে অনুষ্ঠানের প্রকৃতি সম্পর্কে দূর থেকে অনুমান করা যায় যেমন পার্শ্ববর্তী কারো বাচ্ছা ভূমিষ্ট, বিয়ে, গায়ে হলুদ ইত্যাদি উলুধ্বনীর মাধ্যমে জানা যায়।
আমরা সনাতনীরা কোন কারন ছাড়া কিছু করি না। যা কিছু করি প্রতিটির কারণ উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য আছে। তাই এই তাৎপর্য্য গুলো জেনে ও বুঝে যদি আর্শীবাদ করা হয় বা যে কোন মাঙ্গলিক অনুষ্টানগুলো করা হয় , তখনই আর্শীবাদ বা মাঙ্গলিক কার্যাদি সার্থক হবে।
🙏🙏জয় শ্রীরাধে🙏🙏